সাভারে এক নারী পোশাক শ্রমিককে গণধর্ষনের ঘটনায় ৩ অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই গার্মেন্টস কর্মীকে উদ্ধার করে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। এছাড়া ঘটনার সাথে জড়িত বাকিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে সাভার পৌর এলাকার নামাগেন্ডা মহল্লার ময়লার মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই তিন অভিযুক্তকে আটক করে সাভার মডেল থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলো- সোহাগ (৩২), বারেক (২৮) ও মামুন (৩০)।
ধর্ষনের শিকার ওই নারী শ্রমিক নামাগেন্ডা এলাকার ফরিদ উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় আনলিমা গার্মেন্টসে সুইং অপারেটর হিসেবে চাকুরী করতেন। তার গ্রামের বাড়ি বাগেরহাট জেলার শরণখোলা থানার কদমতলী গ্রামে।
গণধর্ষনের শিকার নারী শ্রমিকের বাবা বলেন, আমার মেয়ে বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় কারখানা ছুটির পর বাসায় ফিরছিলো। পথে মেয়েটি টিবিসি নামক একটি ইটভাটার সামনে পৌছলে সেখানে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা ৮-১০ জন যুবক তার গতিরোধ করে। এ সময় বখাটেরা মেয়েটির মুখ চেপে ধরে পার্শ্ববর্তী একটি পরিত্যাক্ত বাউন্ডারির ভিতরে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে আমার মেয়ে বারেক নামে একজনকে চিনতে পেরে তাঁকে বাঁচানোর আকুতি জানায়।
এ ঘটনায় বারেক পরবর্তীতে তাকে মোবাইল করে ডাকলেই সে যেন চলে আসে এমন শর্তে মেয়েটিকে ছেড়ে দেয়। এছাড়া বিষয়টি কাউকে জানালে তাকে ও পরিবারের লোকজনকে হত্যার হুমকি দেয়।
তিনি আরও বলেন, গার্মেন্টস ছুটি হওয়ার পর মেয়ে বাসায় না আসায় আমি খুঁজতে থাকি। রাত সাড়ে ১০টার দিকে সে বাড়ি ফিরলে তার পোশাক ও শরীরের অবস্থা দেখে আমার সন্দেহ হয়। বিষয়টি আমার স্ত্রীকে জানিয়ে মেয়ের সাথে কথা বলতে বলি। এক পর্যায়ে মেয়ে তার মায়ের কাছে সবকিছু খুলে বলে। এরপর আমরা বিষয়টি নিয়ে আত্মীয়স্বজনের সাথে কথা বলে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন জনকে আটক করে।
সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেলিম রেজা বলেন, প্রাথমিকভাবে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তিন বখাটেকে আটক এবং ভুক্তভোগী ওই নারীকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। বিষয়টি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার পাশাপাশি ঘটনার সাথে জড়িত বাকিদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
